নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চন্দন শীল।
রোববার (১৬ জুন) শহরের চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বোমা হামলার ১৮তম বার্ষিকীতে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সময় তিনি এ আল্টিমেটাম দেন। চন্দন শীল ওই দিনের বোমা হামলায় দুই পা হারিয়েছেন।
তিনি বলেন, বোমা হামলায় নিহতদের নামফলকের পাশে ময়লার ডাস্টবিন রাখার তীব্র নিন্দা জানাই। সিটি করপোরেশনের অযত্ম-অবহেলায় নামফলকটির চারপাশে সবসময় ময়লা জমে থাকে। যত ময়লা আছে, সব এখানে ফেলা হয়। এ নিয়ে সিটি করপোরেশনের কোনো উদ্যোগ নেই। এ জন্য নারায়ণগঞ্জ সিটি মেয়রকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে ময়লার ডাস্টবিন সরাতে হবে। আমরা তাকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিলাম। এর মধ্যে ক্ষমা না চাইলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বলেন, এ বোমা হামলায় যারা নিহত হয়েছেন, তারা আওয়ামী লীগের জন্যই নিহত হয়েছেন। আর তিনি আওয়ামী লীগের মেয়র হয়েও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই এখানে শহীদ মিনার স্থাপন করেছেন। আমরা একবারও বলিনি, আমাদের শহীদদের সম্মান করেন। সম্মান করার প্রয়োজন নেই, কিন্তু তাদের নাম এখানে বসিয়ে অসম্মান করবেন না। এ অধিকার কারও নেই।
২০০১ সালের ১৬ জুন নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভয়াবহ বোমা হামলায় প্রাণ হারান ২০ জন। ওই দিন রাতে পৌনে আটটার দিকে সংসদ সদস্য শামীম ওসমান এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলছিলেন, তখনই বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ২০ জন নিহতের পাশাপাশি আহত হয়েছিলেন শামীম ওসমানসহ অর্ধশতাধিক মানুষ। এ ঘটনায় অনেকেই পঙ্গু হয়ে গেছেন চিরতরে। দীর্ঘ ১৮ বছরেও এ মামলার বিচার শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে নিহতদের পরিবার ও আহতদের মধ্যে।
রোববার (১৬ জুন) নিহতদের পরিবারের আয়োজনে চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে নামফলক সম্বলিত স্মৃতিস্তম্ভে ফুলের তোড়া দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।